আমি ছোটবেলায় জুনিয়র রেডক্রস করতাম, আমাদের একটা প্রশিক্ষণ হয়েছিল, সেখান
থেকে আর নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কতগুলো কথা বলে ফেলি।
.
১. সাঁতার না জানা থাকলে পানিতে নামার দরকার নেই। আর প্রত্যেকেরই উচিত
সাঁতার শিখে রাখা।
.
২. ভাটার সময় সমুদ্রে নামা উচিত নয়। কক্সবাজারের সৈকতে লাল-সবুজ পতাকা
ওড়ানো হয়। সবুজ পতাকা থাকলেই কেবল নামা যেতে পারে। যাঁরা সাঁতার জানেন
না, তাঁরা বড়জোর পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ভেজাতে পারেন। এর চেয়ে গভীরে যাওয়া
উচিত নয়। যাঁরা সাঁতার জানেন, তাঁরা কোমর পানি পর্যন্ত যেতে পারেন। তবে
মনে রাখতে হবে, কক্সবাজারের আপাত নিরাপদ জায়গায়ও ভেতরে ভেতরে বেশ গভীর
খাদের মতো আছে। আর ঢেউ নেমে যাওয়ার সময় পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। হঠাৎ
করে পা খাদে পড়লে অতলে ডুবে যাওয়ার অনুভূতি হয়। যিনি সাঁতার জানেন না,
তিনি কিন্তু হাঁটুপানিতেও পড়ে গিয়ে ভয় পেয়ে মারা পড়তে পারেন।
.
৩. সুইমিংপুলে কিংবা পুকুরে সাঁতার কাটা আর নদীতে ও সমুদ্রে সাঁতার কাটা
একদমই এক নয়। খুব ছোট নদীর সামান্য স্রোতেও সাঁতার কাটা খুব মুশকিল।
স্রোত ভাসিয়ে ভাটির দিকে নিতে থাকে। উত্তাল সমুদ্রে বড় সাঁতারুর পক্ষেও
ভেসে থাকা কঠিন। কাজেই সাঁতার জানা থাকলেও খরস্রোতা নদীতে কিংবা উত্তাল
সমুদ্রে নামা উচিত নয়। আসলে সমুদ্র জিনিসটা স্নানের জন্য বা সাঁতারের
জন্য নয়। আর সমুদ্রের যেখানে ইচ্ছা সেখানে নামতে ইচ্ছা করল আর নেমে
গেলাম, এটাও ঠিক নয়।
.
৪. মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের মতো জায়গায় পানিতে নামার একদমই প্রয়োজনীয়তা নেই।
.
৫. ঘুমের ওষুধ, কাশির ওষুধ, অ্যালকোহল, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের পর
পানিতে নামা বিপজ্জনক। এমনকি স্নানাগারের চৌবাচ্চায়ও ডুবে মানুষ মারা
যেতে পারে।
.
৬. যিনি সাঁতার জানেন না, তাঁকে উদ্ধার করতে যাওয়া বিপজ্জনক। এটা আমাদের
রেডক্রসের প্রশিক্ষণে শেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বাঁশ বা দড়ি এগিয়ে দেবে,
প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী কাছে যেতে পারেন, কিন্তু তুমি গেলে ডুবন্ত ব্যক্তি
তোমাকে জড়িয়ে ধরবে এবং সাঁতার কাটতে দেবে না। সে নিজেও মারা যাবে,
তোমাকেও মারবে। বলা হয়েছিল, যিনি সাঁতার জানেন না, তাঁর কপালের পাশে বাড়ি
মেরে তাঁকে অজ্ঞান করে তারপর তুলতে হবে। আর কর্তৃপক্ষের উচিত, বিপজ্জনক
এলাকা, বিপজ্জনক সময় ইত্যাদি চিহ্নিত করে দেওয়া। সমুদ্রের পর্যটন এলাকায়
উদ্ধারকারী দল সদা প্রস্তুত রাখা। তবে আবারও বলি, সাঁতার না জানা থাকলে
পানিতে নামার দরকার নেই। সাঁতার জানা থাকলেও খরস্রোতা নদী বা উত্তাল
সমুদ্রে বা অচেনা জায়গায় হঠাৎ করে পানিতে নামা উচিত নয়। মানুষ শ্বাস না
নিয়ে ছয় মিনিটের বেশি বাঁচতে পারে না। কাজেই উদ্ধারকারীরা আছেন, আমার
বিপদ হলেও কেউ এসে আমাকে বাঁচাবেন, এই ভরসা করা উচিত নয়। ছয় মিনিটের
মধ্যে উদ্ধারকারী আসার সম্ভাবনা খুবই কম। কাজেই নিজের সাবধানতা নিজের
কাছে। ঘটনা ঘটে গেলে কথা বলে আর লাভ নেই। যিনি গেছেন, তিনি আর ফিরে আসবেন
না। কিন্তু আমরা যারা আছি, আমরা যেন নিজেদের বিপদ নিজেরা ডেকে না আনি।
.
- Anisul Hoque, Editorial, Prothom Alo
Saturday, September 9, 2017
বিদায়ের গান....
ছাত্র জীবনের এই বিদায় বেলায়...
সোনালি অতীত দেখি স্মৃতির পাতায়...
এ ভার্সিটি জীবনের মধুময় দিন....
মনের মাঝে আজ চির অমলিন.....
কাটা পাহাড়ের পথ ধরেই হাটা....
থমকে ছিলো তখন ঘড়ির কাঁটা...
আজ যখনি তাকাই আমি পেছনে ফিরে....
আসে স্মৃতির কান্না ভেসে মনটি ঘিরে....
এই স্মৃতি টুকু সম্বল করে অবেলায়....
ইতিহাস হয়ে যাবো স্মৃতির পাতায়...
গেয়ে জীবনেরই গান,কত মধুর স্মৃতি...
সোনালী অতীত ফিরে পাওয়ার আকুতি...
দেখা হবে কি বন্ধু আবার এই ক্যাম্পাসে...
হাটা হবে কি বন্ধু চবির ঐ রাজপথে...
প্রিয়ো ক্যাম্পাসের এই রঙ্গিণ ভুবনে....
ছুটে আসতো সবাই চড়ে শাটল ট্রেনে...
শাটল ট্রেনের ঐ যাত্রা পথে....
গান হতো প্রাণ খুলে একই সাথে....
কিছু কিছু মনে ছিলো গভীর প্রণয়....
ক্লাস ফাঁকি দিয়ে হতো প্রেম বিনিময়....
এখনো কিছু মন আছে একাকী....
পাইনি খুঁজে তারা প্রেমের পাখি...
সেই দুঃখ, কষ্ট, মন ভাঙ্গা অভিমান...
স্মৃতির পাতায় আজ চির অম্লান...
গেয়ে জীবনেরই গান,কত মধুর স্মৃতি...
সোনালী অতীত ফিরে পাওয়ার আকুতি....
দেখা হবে কি বন্ধু আবার এই ক্যাম্পাসে...
গাওয়া হবে কি বন্ধু প্রাণ খুলে একসাথে...
মামুর দোকানে আর আলীর দোকানে...
আড্ডাবাজি হতো গানে গানে...
গ্রন্থাগারের ঐ সিঁড়ির থাকে...
বসাতো হবেনা তাই মনটি কাঁদে...
জারুল তলায় আর শহীদ মিনারে...
মন চাই ফিরে যেতে বারে বারে....
এই শিক্ষাজীবনে পাওয়া সবচেয়ে দামী...
শিক্ষাগুরুর সেই মধুর বাণী....
আজ বেলাশেষে চলে যাব ব্যথা নিয়ে মনে...
স্মৃতি হয়ে পড়ে রব এই চবির ভুবনে...
গেয়ে জীবনেরই গান,কত মধুর স্মৃতি....
সোনালী অতীত ফিরে পাওয়ার আকুতি....
দেখা হবে কি বন্ধু জীবনের কোন কালে....
ফেরা হবে কি বন্ধু কোন এক বিকেলে....???
#ইমামুল হাসান দৌলত
ইতিহাস বিভাগ,চবি....
এম.এ (২০১২-২০১৩) সেশন
সোনালি অতীত দেখি স্মৃতির পাতায়...
এ ভার্সিটি জীবনের মধুময় দিন....
মনের মাঝে আজ চির অমলিন.....
কাটা পাহাড়ের পথ ধরেই হাটা....
থমকে ছিলো তখন ঘড়ির কাঁটা...
আজ যখনি তাকাই আমি পেছনে ফিরে....
আসে স্মৃতির কান্না ভেসে মনটি ঘিরে....
এই স্মৃতি টুকু সম্বল করে অবেলায়....
ইতিহাস হয়ে যাবো স্মৃতির পাতায়...
গেয়ে জীবনেরই গান,কত মধুর স্মৃতি...
সোনালী অতীত ফিরে পাওয়ার আকুতি...
দেখা হবে কি বন্ধু আবার এই ক্যাম্পাসে...
হাটা হবে কি বন্ধু চবির ঐ রাজপথে...
প্রিয়ো ক্যাম্পাসের এই রঙ্গিণ ভুবনে....
ছুটে আসতো সবাই চড়ে শাটল ট্রেনে...
শাটল ট্রেনের ঐ যাত্রা পথে....
গান হতো প্রাণ খুলে একই সাথে....
কিছু কিছু মনে ছিলো গভীর প্রণয়....
ক্লাস ফাঁকি দিয়ে হতো প্রেম বিনিময়....
এখনো কিছু মন আছে একাকী....
পাইনি খুঁজে তারা প্রেমের পাখি...
সেই দুঃখ, কষ্ট, মন ভাঙ্গা অভিমান...
স্মৃতির পাতায় আজ চির অম্লান...
গেয়ে জীবনেরই গান,কত মধুর স্মৃতি...
সোনালী অতীত ফিরে পাওয়ার আকুতি....
দেখা হবে কি বন্ধু আবার এই ক্যাম্পাসে...
গাওয়া হবে কি বন্ধু প্রাণ খুলে একসাথে...
মামুর দোকানে আর আলীর দোকানে...
আড্ডাবাজি হতো গানে গানে...
গ্রন্থাগারের ঐ সিঁড়ির থাকে...
বসাতো হবেনা তাই মনটি কাঁদে...
জারুল তলায় আর শহীদ মিনারে...
মন চাই ফিরে যেতে বারে বারে....
এই শিক্ষাজীবনে পাওয়া সবচেয়ে দামী...
শিক্ষাগুরুর সেই মধুর বাণী....
আজ বেলাশেষে চলে যাব ব্যথা নিয়ে মনে...
স্মৃতি হয়ে পড়ে রব এই চবির ভুবনে...
গেয়ে জীবনেরই গান,কত মধুর স্মৃতি....
সোনালী অতীত ফিরে পাওয়ার আকুতি....
দেখা হবে কি বন্ধু জীবনের কোন কালে....
ফেরা হবে কি বন্ধু কোন এক বিকেলে....???
#ইমামুল হাসান দৌলত
ইতিহাস বিভাগ,চবি....
এম.এ (২০১২-২০১৩) সেশন
Subscribe to:
Posts (Atom)