Monday, August 28, 2017

ধর্ষকের ক্ষমতা

পুরুষের দৈহিক 'ক্ষমতা' রাজনৈতিক। সেই ক্ষমতা রাষ্ট্রের, টাকার ও দাপটের
ক্ষমতার সঙ্গে জোট বেঁধেই ধর্ষণের ক্ষমতা হয়ে ওঠে। এসব ক্ষমতাকে প্রশ্ন
না করে, ধর্ষণের সম্পূর্ণ বিচার সম্ভব নয়। এত সব ক্ষমতাকেন্দ্রের ছায়াতেই
কিছু কিছু পুরুষ ধর্ষক হয়ে ওঠে, যুদ্ধে, প্রেমে, সংসারে ও সমাজে। ধর্ষকের
জয়ের তালি এক হাতে বাজে না। আরেক হাত ক্ষমতার।
- ফারুক ওয়াসিফ | ০৯ মে ২০১৭, ১৮:৪৭

অনুকূল

কারও 'না'-কে 'হ্যাঁ' করাতে পারাটা একটা কঠিন কাজ। যেটা আমি একদম পারি
না। অনুরোধ বা জোর করে কাউকে নিজের অনুকূলে আনা বা নিজের মতামতকে
পতিপক্ষের কাছে গ্রহণ করানো একটা দুঃসাধ্য কাজ। আর এই দুঃসাধ্য কাজটা
যারা পারে, তারা বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। তাদের কাছেই পৃথিবীটা সহজ।
- Tareq I Imon

অসুখী

সুখের তৃষ্ণায় তৃষিত আমি
ভুল করে একদিন সুখী হয়েছিলাম;
সেই সুখের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করেছিলাম-
অসুখীদের গ্রহে..।
- Tareq I Imon

সমাজের প্রয়োজনে সুন্দরী মেয়েদের চরিত্র খারাপ হওয়া উচিৎ

সমাজের প্রয়োজনে সুন্দরী মেয়েদের চরিত্র খারাপ হওয়া উচিৎ| এতে করে সমাজে
অসুন্দরীদের কদর বাড়ে 'পবিত্র' হিসেবে, এবং এতে সমাজে সমতা রক্ষা হয়|
অতএব, চরিত্রহীন সুন্দরীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন | আর যারা
সুন্দরী কিন্তু চরিত্রহীন নয়, তাদের বিরুধ্যে কুৎসা রটনা করুন, এটা আপনার
অধিকার না পারলে অভিসম্পাত করুন তাতেও কাজ না হলে 'ভাগ্যিস সুন্দরী নই'
বলে স্ট্যাটাস দিয়ে সুন্দরী না হবার উপকারিতা সমূহ পাব্লিকের সঙ্গে শেয়ার
করুন | (যারা নিজেদের অসুন্দরী মনে করে, এবং সুন্দরী মেয়েদের চরিত্র
খারাপ বলে ইনিয়ে বিনিয়ে নিজেকে ধোয়া তুলসী পাতা হিসেবে উপস্থাপন করতে
চায়, এই স্ট্যাটাস কেবল তাদের জন্য )
#আশানাজনীন ১৩ জুলাই ২০১৭
-Asha Naznin

থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia)

থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে
মেডিক্যাল স্টুডেন্টদের জন্য
বাংলায় লিখলাম। উদ্দেশ্য
তারা যেন সাধারন মানুষকে
সহজে রোগটি সম্পর্কে
বোঝাতে পারেন।
থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে যে
কেউ লেখাটি ব্যবহার করতে
পারেন।
থ্যালাসেমিয়া (রক্তরোগ)- এক
নীরব মহামারী
প্রত্যক বাবা মা-ই চায় তাদের
সন্তান সুস্থ্য সুন্দর ভাবে জন্ম
লাভ করুক। কিন্তু কারো কারো এ
স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় জানা অজানা
নানা কারনে। থ্যালাসেমিয়া
তেমনি একটি জন্মগত রক্তরোগ
যাতে বাবা-মার স্বপ্ন ভেঙ্গে
যায়। যে সব সমাজে আত্মীয়
স্বজনের মধ্যে বিয়ে শাদী
বেশী প্রচলিত সে সব সমাজে
থ্যালাসেমিয়ার মতো বংশগত
রোগ বালাই বেশী। বাবা-মা এ
রোগের বাহক হলে তাদের
সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগ
নিয়ে জন্মাতে পারে। যারা
থ্যালাসিমিয়া রোগের বাহক
তাদের কোন উপসর্গ নেই। এরা
স্বাভাবিক জীবনযাপন করে।
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায়
দশভাগ অর্থাৎ প্রায় দেড় কোটি
পুরুষ-মহিলা নিজের অজান্তে
থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক।
আমাদের দেশে প্রতিবছর
হাজার হাজার শিশু
থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে
জন্মায়। কিন্তু জন্মের পর পরই এ
রোগটি ধরা পড়েনা। শিশুর বয়স
এক বছরের বেশী হলে বাবা মা
লক্ষ্য করেন শিশুটি ফ্যাকাসে
হয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে শিশুর
দূর্বলতা। আর তখনই শিশু
বিশেষজ্ঞ রক্ত পরীক্ষা করে
শিশুটিকে থ্যালাসেমিয়ায়
আক্রান্ত শিশু হিসাবে চিহ্নিত
করেন, বাবা-মায়ের মাথায়
আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। বাবা-মা
জানতে পারেন যে তারা দুজনেই
থ্যালসেমিয়া রোগের বাহক।
আমাদের দেশে থ্যালাসেমিয়া
এখন এক নীরব মহামারী যাতে
প্রতিবছর হাজার হাজার শিশুর
মৃত্যু হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে বাবা-
মায়ের স্বপ্ন।
থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুর
কি সমস্যা হয়?
থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত
শিশুদের শরীরে রক্তের মূল্যবান
উপাদান হিমোগ্লোবিন
ঠিকমতো তৈরী হয়না। শিশুর বয়স
এক বা দুই বছর হলে শিশুর রক্ত
শূন্যতা দেখা দেয় এবং
ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে। শিশুর
স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত
হয়, শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে। ধীরে
ধীরে শরীরের দরকারী অঙ্গ
যেমন প্লীহা, যকৃৎ বড় হয়ে যায়
এবং কার্যক্ষমতা হারাতে
থাকে। মুখমন্ডলের হাড়ের
অস্থিমজ্জা বিকৃত হওয়ার
কারনে শিশুর চেহারা বিশেষ রুপ
ধারন করে যা দেখে চিকিৎসক
সহজেই থ্যালাসেমিয়ায়
আক্রান্ত শিশুকে চিহ্নিত করতে
পারেন। থ্যালাসেমিয়ায়
আক্রান্ত শিশুদেরকে অন্যের
রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।
অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন
থ্যালাসেমিয়া রোগের
একমাত্র চিকিৎসা যা অত্যন্ত
ব্যয়বহুল ও সব সময় সফল নয়।
কেউ থ্যালাসেমিয়া রোগের
বাহক কিনা তা কিভাবে জানা
যায়?
থ্যালাসেমিয়া রোগের
বাহকদের কোন লক্ষন থাকেনা।
তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন
করে। তাদের শরীরে রক্তের
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা
সামান্য কম থাকে। তাদেরকে
সাধারনত রক্ত গ্রহন করতে হয়না।
তবে একজন থ্যালাসেমিয়া
রোগের বাহক নারী গর্ভবতী
হলে রক্তের হিমোগ্লোবিন
বেশী কমে যেতে পারে যে
কারনে কারো কারো
গর্ভাবস্থায় দুই/এক ব্যাগ রক্ত
গ্রহনের প্রয়োজন হতে পারে। যে
কোন মানুষের রক্তের সিবিসি
(CBC) পরীক্ষা করে সন্দেহ করা
যায় যে সে থ্যালাসেমিয়া
রোগের বাহক কিনা। এই
পরীক্ষায় সন্দেহ হলে তখন
হিমোগ্লোবিন
ইলেকট্রোফোরেসিস (Hb
Electrophoresis
) নামের আর একটি পরীক্ষার
মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় সে
ব্যক্তি থ্যালাসেমিয়া রোগের
বাহক কিনা। সিবিসি পরীক্ষা
করতে ১০০-১৫০ টাকা, আর
হিমোগ্লোবিন
ইলেকট্রোফোরেসিস পরীক্ষা
করতে ৫০০-৭০০ টাকা লাগে।
যদি স্বামী-স্ত্রী দুজনেই
থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হয়
তাহলে সুস্থ্য বাচ্চা পাওয়ার
উপায় কি?
স্বামী এবং স্ত্রী দুজনই যদি
থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হন
তবে শতকরা ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে
তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া
রোগ নিয়ে, ৫০ ভাগ বাহক
হিসেবে এবং ২৫ ভাগ সুস্থ্য শিশু
হিসেবে জন্ম নিতে পারে। তাই
সন্তান গ্রহনের ক্ষেত্রে
মাতৃজঠরে বাচ্চার ডিএনএ
টেস্টের মাধ্যমে বাচ্চার
থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্নয়
তাদের একমাত্র ভরসা। মায়ের
গর্ভে বাচ্চার বয়স যখন ১১ হতে
১৫ সপ্তাহ তখন প্রাথমিক গর্ভফুল
হতে কোষকলা সংগ্রহ (Chorionic
Villus Sampling) বা গর্ভের বাচ্চার
চারপাশের পানি সংগহের
(Amniocentesis) মাধ্যমে বাচ্চার
ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়। আর এই
ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে
গর্ভের বাচ্চার থ্যালাসেমিয়া
রোগ আছে কিনা তা শতভাগ
নিশ্চিত হওয়া যায় । এ সময়
বাচ্চার আকার থাকে দেড় হতে
দুই ইঞ্চির মতো। কাজেই সুস্থ
বাচ্চা পাওয়া না পাওয়া
সম্পর্কে নিশ্চিৎ হয়ে বাবা-মা
গর্ভাবস্থা চালিয়ে যাওয়ার
ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিতে
পারেন। মাতৃজঠরে ভ্রুনের
ডিএনএ পরীক্ষা করে
থ্যালাসেমিয়া নির্নয় এখন
দেশেই হচ্ছে যা আমাদের
চিকিৎসা ব্যবস্থায় মাইল ফলক।
গর্ভবতী মাকে এজন্য আর বিদেশ
যেতে হচ্ছেনা।
প্রতিরোধের উপায়ঃ
একটু সচেতন হলেই আমরা এ রোগ
প্রতিরোধ করতে পারি। বিয়ের
আগে পাত্র-পাত্রী বা বাচ্চা
নেয়ার আগে স্বামী-স্ত্রী
থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক
কিনা আছে তা পরীক্ষা করে
দেখতে হবে। পৃথিবীর অনেক
দেশে যেমন, সাইপ্রাস ১৯৭৩
সালে, বাহরাইন ১৯৮৫, ইরান
২০০৪, সৌদি আরব ২০০৪, এবং
সর্বশেষ পাকিস্তান ২০১৩ সালে
বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বা
বাচ্চা নেয়ার আগে স্বামী-
স্ত্রীর থ্যালাসেমিয়া আছে কি
না তা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক
করে থ্যালাসেমিয়া রোগকে
নিয়ন্ত্রন করা গেছে। যে কেউ
থ্যালাসিমিয়া রোগের বাহক
হতে পারে। রক্ত পরীক্ষার
মাধ্যমে সহজেই জানা যায় কেউ
থ্যালাসেমিয়া বাহক কিনা।
বাবা এবং মা দুজনেই
থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক
হলেই কেবল সন্তানের
থ্যালাসেমিয়া রোগ হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। একজন বাহক
এবং অপরজন সুস্থ এমন দুজনের
মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হলে
সন্তানদের কোন সমস্যা হবেনা।
রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে
থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত
শিশুদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে
বিশাল রক্তের ভান্ডার
প্রয়োজন হচ্ছে। আনুসাঙ্গিক খরচ
বহন করতে গিয়ে আর্থিক
দৈন্যতা ও মানসিক যন্ত্রনায়
ভুগছে লাখো বাবা-মা। শুধু তাই
নয়, বাবা মায়ের সামনেই ১০
থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে
বেশীরভাগ থ্যালাসেমিয়ায়
আক্রান্ত শিশুর জীবন প্রদীপ
নিভে যাচ্ছে। আমাদের দেশে
থ্যালাসেমিয়া এখন এক নিরব
মহামারী যাতে প্রতিবছর
হাজার হাজার শিশুর মৃত্য হচ্ছে।
ধংস হচ্ছে বাবা-মায়ের স্বপ্ন।
সাধারন মানুষের মধ্যে
সচেতনতা তৈরী করার জন্য ৮ মে
সারা পৃথিবীব্যপী বিশ্ব
থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করা
হয়। কিন্তু "অজ্ঞাত কারনে"
জাতীয় জীবনে তেমন গুরুত্ব নেই
এমন দিবস বেশ ঘটা করে পালন
করলেও থ্যালাসেমিয়া দিবস
পালনে আমাদের এতদিন কোন
আগ্রহ ছিলনা। অথচ শিশু মৃত্যুর
হার কমানো আমাদের লক্ষ্য।
থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসার
কথা যতটা বলা হয়, প্রতিরোধের
কথা তেমন বলা হয় না।
আশার কথা, বর্তমান ডিজি
হেলথ্ মহোদয় থ্যালাসেমিয়া
প্রতিরোধে এক যুগান্তকারী
পদক্ষেপ নিয়েছেন। ফেসবুকে
থ্যালাসেমিয়ার ভয়াবহতা
নিয়ে আমাদের বিভিন্ন লেখা
তার দৃষ্টি আকর্ষন করে। তিনি
কথা দিয়েছেন, কথা রেখেছেন।
থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে
ইতিমধ্যে একটি কমিটি হয়েছে।
ডা: মারুফুর রহমান অপু
সেই
কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে
কাজ করছেন। সবার অংশ গ্রহনে
থ্যালাসেমিয়ার স্থান হবে
ইতিহাসের পাতায়।
থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা
মানে অন্যের রক্ত নিতে নিতে
অকাল মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেয়া।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা ভালো
থাকার জন্য কত না পরিকল্পনা
করি। আসুন সুস্থ্য সন্তানের বাবা
মা হওয়ার জন্য, মেধাদীপ্ত দেশ
গড়ার জন্য, থ্যালাসেমিয়া রোগ
সম্পর্কে সচেতন হই। মৃত্যু
পরোয়ানা নিয়ে শিশুর জন্ম
প্রতিরোধ করি।

.
- ডা. রেজাউল করিম কাজল

সহযোগী অধ্যাপক,
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ
,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল
বিশ্ববিদ্যালয়

বত্রিশ তম ব্যাচ, রাজশাহী
মেডিক্যাল কলেজ

Stop quota system in Bangladesh

সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রতি অনুরোধ— প্লিজ, এই কোটা ব্যবস্থা বন্ধ
করুন। আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, রাতজাগা পরিশ্রমকে কোটার কাতারে এনে
এভাবে অবমূল্যায়ন করবেন না। আমরা আমাদের প্রাপ্য অধিকারটুকু চাই। ৫৫%
কোটা দিয়ে আমাদের লালিত স্বপ্নকে হত্যা করবেন না, প্লিজ।

অনীহা

অতীতের কোনো স্মৃতি মনে পড়ে সেখানে আবার ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা, বা কোনো
ভুলের জন্য নিজের মাঝে অনুসূচনা —কোনোটির প্রতি আমার টান বা আগ্রহ নেই।
অতীত কোনো মুহূর্তকেই আমার ফিরে পেতে চাইবার মতো মনে হয় না। ভাবছি,
মানুষের বর্তমানটা অমধুর হলেই কি অতীতকে তার আপন মনে হয়? তবে, আমার
বর্তমান কি ততটা অমধুর নয়? —সেই প্রশ্নেরও কোনো উত্তর নেই মনে..।
- Tareq I Imon

Sunday, August 13, 2017

কি হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল এর ইমার্জেন্সিতে

অামার (০৪.০৮.'১৭) অাজকের অভিজ্ঞতা:
.
টিউশনের উদ্দেশ্যে ট্রেন থেকে নামলাম ষোলশহর। রোড ফ্রি ছিলো যেহেতু
শুক্রবার ছিলো, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন এর সামনে ভীড় ঠেলে গিয়ে
দেখি একটা পাঁচ বছরের মতো হবে বাচ্চার বয়স,চোখে মুখে রক্ত। আর একজন ৫৫+
অসহায় লোক সেন্সলেস। একজন মহিলা "মামা" বলে বলে চিৎকার করছেন। মেডিকেল কে
নিয়ে যাবে বলে বলে এদিক ওদিক করছেন। ভীড় ঠেলে বললাম, চলেন আমি নিয়ে যাবো।
সো, গেলাম চমেক এর "জরুরী বিভাগে'"। যা হলো তা ভিডিও বা ছবি তুলার
অবস্থায় ছিলাম না। কারণ, আমি তব্ধ ছিলাম।
ফরমালিটিজ শেষ করতে আমার ১২০ টাকা যায় দুইজন রোগীর জন্য। হাতে ছিলো আমার
কাছে ৭০।
প্রথম আয়া বলে ৫০/- দেন।
আমি বললাম,আছে তো মাত্র ৭০/-। ২০ টাকা নিন।
বি.দ্র: জরুরি থেকে মাত্র ক্যাসুয়াল্টি গেলো আয়া টা। সাথে আমিও রোগীর
ভ্যান টানছি।
আয়াটা বলে "ভ্যানে তুলছেন কেনো?টাকা না থাকলে।" বলেই আমার হাত থেকেই ৫০/-
নোট নিয়ে চলে যায়।
ড. ক্যাসুয়াল্টি তে প্রেসক্রিপশন লিখছে অন্য আয়া হাতে নিয়ে বলে,
আমাকে তো ১০০/- দিতে হবে। আছে টাকা?
আমি থ!!!
আমি বললাম, আপনি নিয়ে যাবেন,টাকা না থাকলেও।
আয়া আমাকে বলে,আপনার চাকর না। বলে হুইল চেয়ার ঘুরিয়ে চলে যায়। পাশে কেউ
বলছে, টাকা দিবে তুলেন।
তুলার পরে বলে, টাকা দেখান। কয়েক কদম নেয়ার পরে রোগী কে পিছনে নিয়ে
আসে।টাকা ছাড়া নিবে না।বিকাশ করে টাকা তুলে,টাকা হাতে দিয়ে তারপর রোগী
নিয়ে যায়। আমি ততক্ষণে লেফ্ট করি,কমপ্লেইন করার জন্য। একটা স্টাফও আমাকে
"ওয়ার্ড মাস্টার" অফিস দেখায় দিচ্ছিলো না,কমপ্লেইন করবো বলে।
শেষ পর্যন্ত ড. কে জিজ্ঞেস করে খুঁজে নিলাম। দেখলাম শুক্রবার বলে ডিউটি
তে নেই। পরে জরুরি তে এসে একজন স্টাফ কে জিজ্ঞেস করলাম, ওই স্টাফের(১ম
আয়া) নাম কি?
ওনি রেগে বলেন,আমি কেনো বলবো? আপনি গিয়ে জিজ্ঞেস করেন।
গেলাম। আপনার নামটা?
আমার নাম দিয়ে আপনার কি? কমপ্লেইন করতেন? কিচ্ছু করতে পারবেন না।
আমি অবাক হলাম। হায় রে! তাদের কত পাওয়ার। আমাদের টেক্সে ঝাড়ুদার থেকে
মেডিকেল এর ডিরেক্টর পর্যন্ত চলছে। আর,সাধারণ মানুষগুলোর এক ফোঁটা দাম
নেই। রোগী মরে যাচ্ছে। কে শুনে কার কান্না? দুর্ব্যবহারে,ডাকাতিতে পুরো
চমেক ভরে গেছে।
#Justice মরে গেছে?
না, আমি বলবো মরেনি।
হিউম্যান রাইট কাউন্সিলের সাথে কথা বলেছি। পূর্বকোণ এবং আজাদীর সাথে কথা
হয়েছে। তারপরও যদি আমাদের সচেতনতা বাড়ে! সবাই প্রতিবাদ করলে হয়ত আজকে এই
অবস্থায় পরতাম না। তারপরও যদি, আমাদের মাঝে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার
ক্ষমতা টা জাগ্রত হয়!!!
কোথায় নাকি প্রাণ বাঁচানোর জন্য মানুষ মেডিকেল যায়!! আজকে আমার সাথে
হয়েছে! হয়ত অপরিচিত ছিলো আমার। কিন্তুু, মানুষ তো। কালকে অজান্তেই খোদা
না করুক।আপনার স্বজনদের সাথে হতে পারে।এমন জরুরী বিভাগে আয়াদের কারণে
আপনার কারও প্রাণও চলে যেতে পারে।
#Raise_ur_voice
#Do_for_justice
- Mariam Shaki

On 7/17/17, Tareq I Imon <tareqimon@gmail.com> wrote:
> একটা কথা প্রচলিত , লোক প্রশাসন বিষয়ে যারা পড়তে আসে তারা পড়তে আসার আগে
> এই বিষয় টা সম্পর্কে একরকম অজ্ঞই থাকে। আমরা যারা পড়ছি তারা এখন হয়তো
> জানি লোক প্রশাসন সাবজেক্ট টা আসলে কি নিয়ে আলোচনা করে, জব সেক্টরে এর
> চাহিদা কেমন। এখন সেটা নিয়েই কিছু বলি, লোক প্রশাসন মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞান
> সাব্জেক্ট থেকে জন্ম নিয়েছে। এই বিষয়টি সাধারনত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে
> পড়ানো হয়ে থাকে। সাব্জেক্টটা অনেকটাই ব্যবহারিক একটা সাব্জেক্ট। অন্য
> সাব্জেক্টগুলোর মত একঘেয়েমি পড়াশোনা নাই। বলা যায় সরাসরি চাকরির
> প্রস্তুতি। বিসিএসের সিলেবাস এর অনেকটাই পড়া হয়ে যায় এই সাব্জেক্টের
> শিক্ষার্থীদের। এত যে হোমরা চোমরা সচিব আর প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি আছে
> সবার কিন্তু চাকরি তে জয়েন এর আগে লোক প্রশাসনের উপর কোর্স করতে হয়েছে।
> তাছাড়া বিসিএস প্রশাসন পাওয়া ক্যান্ডিডেটরা সরকারিভাবে স্কলারশিপ নিয়ে
> বাইরে দেশে কিন্তু লোক প্রশাসনের উপরই পড়তে যায়। প্রতিটা সেক্টরই
> মোটামোটিভাবে এই সাব্জেক্টের জন্য উন্মুক্ত। হাসপাতালে জব করবেন? তাও আছে
> প্রশাসনিক কর্মকর্তা নামে সুন্দর একখান পদ। বাইরে যাবেন? লোক প্রশাসন
> নিয়ে প্রায় সবগুলো দেশেই যাওয়া যায়। বিসিএস? এখনো লোক প্রশাসনের
> শিক্ষার্থীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। রেডিও টেলিভিশন? এখানেও লোক প্রশাসনের
> শিক্ষার্থীরা দখল করে রেখেছে । প্রাইভেট সেক্টরে প্রায় প্রতিটা
> কোম্পানীতেই HR নামে রয়েছে সম্মানীয় পদ, যেখানে এপ্লাই করলে লোক প্রশাসন
> আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে। অর্থাৎ প্রায় সব ক্ষেত্রেই লোক
> প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে যথেষ্ট সুযোগ ।
> -(সংগৃহীত এবং পরিমার্জিত)
> .
> Keyword: লোকপ্রশাসন, বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন, লোকপ্রশাসন পড়ে কী করবো,
> লোকপ্রশাসন পড়ে কি করব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগ,
> লোকপ্রশাসন জব সেক্টর, লোকপ্রশাসন চাকরিক্ষেত্র, Public Administration
> job sector in Bangladesh লোক প্রশাসন, জন প্রশাসন
>