Thursday, November 28, 2019

সাবজেক্ট রিভিউ: নৃবিজ্ঞান (Subject Review: Anthropology

বাংলাদেশ ও বিদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজনী বিষয় হল নৃবিজ্ঞান। আক্ষরিক অর্থে নৃবিজ্ঞান মানুষ বিষয়ক বিজ্ঞান। কিন্তু মানুষ বিষয়ক অন্যান্য বিজ্ঞানগুলির চেয়ে এর পরিধি ব্যাপকতর। বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা মানুষ নিয়ে এই বিজ্ঞানে গবেষণা করা হয়। লক্ষ কোটি বছর ধরে মানুষের বিবর্তন এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের গবেষণাও নৃবিজ্ঞানের আওতায় পড়ে। নৃবিজ্ঞানে মানুষকে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গবেষণাকরা হয়। বিভিন্ন জাতের মানুষ ও তাদের সব রকমের অভিজ্ঞতা নৃবিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়। নৃবিজ্ঞানীরা কোন একটি বিশেষ মানব সম্প্রদায়ের সাধারণ বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে ও সেগুলি ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করেন। এই বৈশিষ্ট্যগুলি মানুষের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বা সামাজিক রীতিনীতি হতে পারে।নৃবিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান শাখা হল দৈহিক নৃবিজ্ঞান। দৈহিক নৃবিজ্ঞানে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ও পরবর্তীতে তাদের শারীরিক বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়। নৃবিজ্ঞানের দ্বিতীয় প্রধান শাখা হল সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান। সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান আবার তিনটি উপশাখায় বিভক্ত প্রত্নবিজ্ঞান, নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান ও জ্যোতিবিজ্ঞান। এই তিনটি উপশাখাই মানুষের সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে। এগুলো থেকে কোন নির্দিষ্ট সমাজের চিন্তাধারা ও আচরণের রীতিনীতি বুঝতে পারা যায়। নৃবিজ্ঞানের গবেষণা মানুষকে সহিষ্ণু হতে সাহায্য করে। অন্য জাতির লোক কেন সাংস্কৃতিক ও দৈহিক দিক থেকে আলাদা আচরণ করে? নৃবিজ্ঞান তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়। যেসব সাংস্কৃতিক রীতিনীতি ও কাজকর্ম আমাদের কাছে ভুল বা অশোভন মনে হতে পারে, সেগুলি হয়ত বিশেষ পরিবেশগত বা সামাজিক অবস্থার জন্য অভিযোজনের ফসল।মানুষ কি করে? কেন করে? কিভাবে করে? এর ফলাফল কি? নানা প্রশ্ন নিয়ে নৃবিজ্ঞান কাজ করে। সমাজবিজ্ঞান যেমন সমাজের সকল সমস্যা-বিষয় নিয়ে কথা বলে, তত্ত্ব দেয় ঠিক তেমনি মানুষ নিয়ে নৃবিজ্ঞানের কাজ। শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রেই নৃবিজ্ঞানীদের অবাধ বিচরণ প্রয়োজন আছে। নৃবিজ্ঞান একটি ডিসিপ্লিন হলেও এর জ্ঞানকান্ডের পরিধি অনেক বেশি। এটি অধ্যায়নে সমগ্র-বিষয়কে সস্পৃক্ত করে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নৃবিজ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে, যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন তারা যদি সামাজিক নৃবিজ্ঞান সম্পর্কে অবগত হতেন তাহলে দেশের পরিস্থিত অস্থিতিশীল হতো না। মানব জাতির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে, নৃবিজ্ঞান একে-অপরকে চিনিয়ে দেয়।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এ বিষয়ের আছে বহুমুখি পেশা। এত পেশা অন্যকোন ডিসিপ্লিনে নেই। পেশাগগুলো উপভোগ্য। বাংলাদেশে আপনি শিক্ষা ও প্রশাসনিক সেক্টরে অবস্থান নিতে পারবেন। প্রত্নতত্ত্ব, স্বাস্থ্য, জাদুঘর, প্রজেক্ট ডিজাইন, জানস্বার্থে উন্নয়ন প্রজেক্ট, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, গণমাধ্যম, সামাজিক সংস্থা, উন্নয়ন সংস্থা, পরিবেশ ও প্রতিবেশমূলক, অপরাধ বিষয়ক, ফরেন্সিক বিভাগ, বিমান শিল্প, গার্মেন্স শিল্প, মনোবিদ্যা, জৈবপ্রযুক্তি, রোগতত্ত্ব। বলতে পারেন এ সব বিষয়ে যে কোন বিষয়ের উপর ডিগ্রি নেয়া লোকই আসতে পারে। পারে, তবে পেশার এসব সেক্টরগুলো নৃবিজ্ঞানির জন্য উপযোগী। অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ শুধুমাত্র নৃবিজ্ঞানই যথার্থভাবে কাজ করে থাকে।

(সংগৃহীত)

Keywords: 
সাবজেক্ট রিভিউ নৃবিজ্ঞান 
Subject Review Anthropology
সাবজেকট রিবিউ অ্যানথ্রপলজি 
বিষয়: নৃবিজ্ঞান ন্রি বিজ্ঞান ন্রিবিজ্ঞাব নৃ-বিজ্ঞান
নৃবিজ্ঞানজব 
নৃবিজ্ঞান জব সেক্টর
নৃবিজ্ঞান চাকরি চাকরী
নৃবিজ্ঞান পড়ে কি করব
নৃবিজ্ঞান পড়ে কী করবো
নৃবিজ্ঞান কেমন সাবজেক্ট
নৃ বিজ্ঞান বাংলাদেশে চাকরি
নৃবিজ্ঞান পড়াশোনা
requirements qualifications Anthropology
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নৃবিজ্ঞান   
University admission subject Anthropology
Anthropology job sectors in Bangladesh
Anthropology job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগ
Chittagong University Anthropology department
The University of Chittagong

সাবজেক্ট রিভিউ: ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স / অপরাধবিজ্ঞান (Subject Review: Criminology and Police Science)

এ বিভাগের পাঠ্যক্রমের মধ্য উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে অপরাধবিজ্ঞানের পরিচিতি, অপরাধ বিজ্ঞানের তত্ত্ব, অপরাধ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা পদ্ধতি, অপরাধ বিজ্ঞানের ইতিহাস, কিশোর অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, ভিকটিমোলজী, অপরাধের সমসাময়িক ত্তত্ব ও ইস্যুজ, অপরাধীয় বিচার ব্যাবস্থা, সাইবার ক্রাইম, ক্রাইম ম্যাপিং সহ নানা যুগোপযোগী কোর্স।পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রন ও অপরাধের কারন।  ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন, ক্রোর ইস্যুজ ইন পুলিশিং, পেনাল কোড, এভিডেন্স এক্ট, ইনফরমেশন টেকনোলজি, ক্রিমিনাল ল’, ফরেনসিক সায়েন্স ইত্যাদি বিষয় এ বিভেগের পাঠ্যক্রমে অর্ন্তভূক্ত।

দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ বিষয়ে পড়ার পর সহজেই ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এ বিভাগ থেকে অনার্স  সম্পন্ন করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, বিভিন্ন বিসিএস ক্যাডার, এনএসাইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন,সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান, দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থা, বিভিন্ন গবেষনা প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাসহ নানা সেক্টরে চাকুরীর সু্যোগ রয়েছে। 

দেশের বাইরে বললে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড জাস্টিস ইনস্টিটিউট নামে রয়েছে জাতিসংঘের স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ইউনাটেড নেশনস অফিস অফ ড্রাগ এন্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), ইন্টারপোল, ইউনিসেফ, ইন্ট্যারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন অর্গানাইজেশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্ট্যারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে ইন্টার্নশীপ ও কাজের সুযোগ আছে এ বিভাগে পড়ার মাধ্যমে। এ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ইউনাটেড নেশনস অফিস অফ ড্রাগ এন্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইন্ট্যারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন অর্গানাইজেশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্ট্যারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে কাজের সু্যোগ রয়েছে।

(সংগৃহীত)

Keywords: 
সাবজেক্ট রিভিউ পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি পুলিশ বিজ্ঞান ও অপরাধতত্ত্ব অপরাধ বিজ্ঞান
Subject Review Police Science and Criminology
সাবজেকট রিবিউ পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি অপরাধতত্ত্ব বিভাগ
বিষয়: পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি 
পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি  জব 
পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি  জব সেক্টর
পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি  চাকরি চাকরী
পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি  পড়ে কি করব
পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি  পড়ে কী করবো
পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি  কেমন সাবজেক্ট
পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি  বাংলাদেশে চাকরি
পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি  পড়াশোনা
requirements qualifications Police Science and Criminology
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি    
University admission subject Police Science and Criminology
Police Science and Criminology job sectors in Bangladesh
Police Science and Criminology job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনোলজি  বিভাগ
Chittagong University Police Science and Criminology department
The University of Chittagong

সাবজেক্ট রিভিউ: উন্নয়ন অধ্যয়ন (Subject Review: Development Studies)

"Jack of all trade, master of Development" 

"শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন মানেই উন্নয়ন নয়"  ধারণাটির উপলব্ধি থেকেই পড়াশোনা বা গবেষণার নতুন বিষয় Development Studies (DS) এর জন্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বৈশ্বিক বাস্তবতার প্রয়োজনে বহির্বিশ্বে এই বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ও গবেষণার শুরু বলা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.আতিউর রহমান এবং ঢাবির নামকরা কিছু প্রফেসর মিলে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগটির মর্ম ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম এই বিভাগটির মাস্টার্স প্রোগ্রাম ও পরবর্তীতে অনার্স কোর্স চালু করেন।পরবর্তীতে ধীরে ধীরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়,Bangladesh University of Professionals (BUP), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে Development Studies বিভাগটি চালু হয়।

সমাজবিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর ফোকাস করে। কিন্তু একঘেয়ে পড়ালেখা আর নির্দিষ্ট একটা গন্ডির মধ্যে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি Multidisciplinary বিষয়। অর্থনীতি, রাজনীতি, পরিবেশ, সমাজবিজ্ঞান, সংস্কৃতি, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, পাবলিক পলিসি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, জেন্ডার ও উন্নয়ন, যোগাযোগ, উন্নয়নের কৌশল, গবেষণা পদ্ধতি ও প্রয়োগ, বাজেট ব্যবস্থাপনাসহ মানব উন্নয়নের সব বিষয়ে ইন ডেপথ জানার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। একসাথে জ্ঞানের অনেকগুলা শাখায় ভ্রমণের সুযোগ এখানে পাওয়া যায়। উন্নয়ন অধ্যয়নের শিক্ষার্থীদের তত্ত্ব ও তার প্রয়োগের মাধ্যমে কীভাবে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব তা শেখানো হয়। 

♦Opportunities?
-উচ্চশিক্ষার জন্যে Scholarship নিয়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। 
-বিসিএস, ব্যাংক জবসহ সকল সরকারি জবতো সবার জন্যেই খোলা। বহুমাত্রিক এবং প্রায়োগিক বিষয় হওয়াতে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের স্টুডেন্টরা সরকারি জবের এক্সামেও এগিয়ে থাকে। আবার বহুমাত্রিক বিষয় হওয়াতে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের জব সেক্টরও বহুমাত্রিক। CPD, BIDS সহ নামকরা সব গবেষণা প্রতিষ্ঠান, UN, UNDP, UNICEF, IDB, ADB, IMF, World Bank, JICA, Save the Children, OXFAM, Action Aid, CARE সহ আরো অনেক দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও এনজিওতে গুলোতে প্রায়োরিটি পাবে DS এর শিক্ষার্থীরাই।

♦Department হিসাবে Development Studies অন্যদের থেকে কেন আলাদা?
-বিশ্বায়নের যুগে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ও চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতার কথা চিন্তা করে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট ফোকাস করে কোয়ালিটির উপর। শিক্ষার্থী সংখ্যা কম রেখে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের দিকে গুরুত্ব দেয়। যেখানে অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট ১২০-১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেয় সেখানে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। 

♦চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ?
২০১৭-২০১৮ সেশনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড.ফরিদ উদ্দীন আহমেদ স্যারের নেতৃত্বে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সূচনা হয়৷ উপস্থাপনা, ভাষাজ্ঞান, স্মার্টনেস, সৃজনশীলতার উপর গুরুত্বারোপ করে নতুন বিভাগ হয়েও অন্যান্য বিভাগের সাথে সম্মানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বেশ সমীহ আদায় করে নিয়েছে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, পাচ্ছে সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা।
 
•সুসজ্জিত  ডিপার্টমেন্ট অফিস,  ক্লাসরুম, সেমিনার তো থাকছেই।
•ঢাবির DS থেকে গ্রাজুয়েট শিক্ষকবৃন্দের সাথে নিয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড.ফরিদ উদ্দীন আহমেদ স্যার বর্তমানে বিভাগটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগেত নাম করা প্রফেসরবৃন্দ গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে থাকছেই।
• চবিতে হাতে গোনা কিছু বিভাগে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়,যার মধ্যে Development Studies অন্যতম। 
• স্টুডেন্ট সংখ্যা কম হওয়ায় (৩০জন) শিক্ষকরা সবাইকেই আলাদাভাবে টেক কেয়ার করতে পারে।
•প্রায়ই শুধুমাত্র DS কে নিয়েই সেশন করানো হয়। যে সেশনে গেস্ট লেকচারার হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে ইনভাইট করা হয় স্টুডেন্টদের সাথে নলেজ শেয়ারিং এর জন্য। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
•DS এর শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে নাই কোনো Club আর co-curricular activities এ।

এছাড়াও DS এর শিক্ষক, সিনিয়র-জুনিয়র, ব্যাচমেট বন্ডিংটা অন্যদের জন্যে ঈর্ষনীয়। শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক আর কেয়ারফুল। আমরা যেকোনো উদ্যোগ নিলে তারা সবসময় আমাদেরকে সাপোর্ট দেন,স্বেচ্ছায় ফাইনান্সিয়ালি হেল্প করেন। কেউ দুইদিন ক্লাসে না আসলেই খোজ নেয়। মাঝে মাঝে ট্রিটও দেয়।আর হ্যা, এই রিভিউটার কারেকশনেও হেল্প করেছে।জোস না? 
আর সিনিয়র জুনিয়র রিলেশন? অন্য কোনো ডিপার্টমেন্টের কারোর কাছে শুনলেই জানতে পারবে। এইতো, গত রাতেই রাইসুল ভাইয়ের জন্মদিনে তাদের ফ্লাটে হানা দিলাম ১৫-২০ জন মিলে। পেট ভরে না খেয়ে, একসাথে বসে গান আর আড্ডা না দিয়ে ফিরে আসেনি। 

আসন সংখ্যা মাত্র ৩০ টা। কত সিরিয়াল পর্যন্ত Development Studies পাওয়া যাবে এটা বলা যাচ্ছে না, তবে তোমাকে সিরিয়ালে শুরুর দিকেই থাকতে হবে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের জন্যে আসন সংখ্যা যথাক্রমে ১২,১২ ও ০৬ টি। নিঃসন্দেহে Development Studies কে তোমার চয়েস লিস্টের Top 3 পজিশনে রাখতে পারো। গতবছর ৬৭ তম সিরিয়াল সহ ২০০তম এর মধ্যে থেকে অনেকেই DS নিয়েছিলো।

♦এবার একটু Negative দিক আলোচনা করি? 
তুমি যদি ম্যাথ বা ইকোনমিকসে দুর্বল হও তাহলে Development Studies কে স্কিপ করো। এখানে তোমাকে ম্যাথ, স্ট্যাটিস্টিক্স এবং ইকোনোমেট্রিক্সের মত কোর্সগুলোর মুখোমুখি হতে হবে। যদি ভাবো যে ভার্সিটিতে উঠলে পড়ালেখা নাই,শুধু চিল মারবো পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে ৩.৫ পাবো তাহলেও এই ডিপার্টমেন্ট তোমার জন্যে না। আর অবশ্যই অবশ্যই এখানে সব এক্সাম ইংরেজিতে দিতে হবে। এটাও মাথায় রাখতে হবে।

তাছাড়া পড়ালেখার মধ্যে মজা পেতে চাইলে তোমার জন্যে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ  একঘেয়ে আর নিঃরস না।তোমাকে মেন্টালি গ্রো করতে ও অনেক কিছু জানতে সাহায্য করবে।

You are welcome to DS :)

ধন্যবাদ শোয়াইব স্যার,তন্ময় স্যার যারা সাহায্য করেছিলেন রিভিউ লিখতে


-- Rabby Dipto
Development Studies,
University of Chittagong

Keywords: 
সাবজেক্ট রিভিউ উন্নয়ন অধ্যয়ন
Subject Review Development Studies
সাবজেকট রিবিউ উন্নয়ন অধ্যয়ন 
বিষয়: উন্নয়ন অধ্যয়ন
উন্নয়ন অধ্যয়ন জব 
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ স্টাডিস স্টাডি ষ্টাডি জব সেক্টর
উন্নয়ন অধ্যয়ন চাকরি চাকরী
উন্নয়ন অধ্যয়ন পড়ে কি করব
উন্নয়ন অধ্যয়ন পড়ে কী করবো
উন্নয়ন অধ্যয়ন কেমন সাবজেক্ট
উন্নয়ন অধ্যয়ন বাংলাদেশে চাকরি
উন্নয়ন অধ্যয়ন পড়াশোনা
requirements qualifications Development Studies
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উন্নয়ন অধ্যয়ন
University admission subject Development Studies
Development Studies job sectors in Bangladesh
Development Studies job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ
Chittagong University Development Studies department
The University of Chittagong

সাবজেক্ট রিভিউ: সমাজতত্ত্ব / সমাজবিজ্ঞান (Subject Review: Sociology / Social Science)

Review 1.

কেন পড়বেন সমাজবিজ্ঞানে :
সমাজ বা দলের বৈজ্ঞানিক আলোচনা বিজ্ঞান সমাজবিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান একজন শিক্ষার্থীকে এমন ভাবে প্রস্তুত করে যাতে সে, সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির মনো- সামাজিক সমস্যা দূর করেতে সমর্থ হয়। এছাড়া সমস্যাগ্রস্ত দল, পরিবার ও সম্প্রদায়ের এমনভাবে সাহায্য করেন যেন তারা নিজেরাই নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে। যে কারণে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা সমাজের ডাক্তার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সমাজকর্মী হিসেবে পেয়ে থাকেন বিশেষ মর্যাদা।
সামাজিক সেবা প্রদান পরিচালনা, উন্নয়নশীল নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করার সুযোগ হয়। কাজের মাধ্যমে সমাজকর্মী হিসেবে দেশে- বিদেশে সমাদৃত হন। কেউ কেউ পেয়ে যান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খ্যাতি। কাজের সুবাদে ঘুরে বেড়াতে পারেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে।
এ বিষয়ে পড়াশুনা শেষে আছে বিভিন্ন কর্মের হাতছানি। সমাজবিজ্ঞানে ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থীদের রয়েছে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পাশাপাশি দাতব্য এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থায় পেশাগতভাবে কাজ করার সুযোগ।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক, দেশি ও স্থানীয় এনজিওগুলোর বিভিন্ন বিভাগে চাকরির সুযোগ পেয়ে থাকেন।

কাজের ধরণঃ 
গবেষণা, উন্নয়ন, প্রোগ্রাম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভাগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন। এছাড়া সোশ্যাল গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধীনে গবেষক, সহকারী গবেষক, মাঠ গবেষণা পর্যবেক্ষক, পর্যবেক্ষক, গবেষণা পদ্ধতি উন্নয়নকারী, তথ্য সংগ্রহকারী এবং গবেষণা প্রতিবেদক হিসেবেও কাজ করতে পারেন।
একজন সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে যেমন ইউএনডিপি, ইউনেসকো, ইউনিসেফে চাকরি করে আন্তর্জাতিক স্কেলে বেতন প্রাপ্ত হন।

স্টুডেন্টরা জানতে চায়, "সমাজবিজ্ঞান পড়লে চাকরির ক্ষেত্র কেমন?"
সমাজকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানার জন্য সমাজবিজ্ঞান একটি অসাধারণ ক্ষেত্র। সমাজবিজ্ঞান পাঠ করলে সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে, পরিবর্তনশীল সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করা যায়। এখন আসল কথা হলো জ্ঞান নয়, সমাজবিজ্ঞান পড়লে ভবিষ্যতে কাজের সুযোগ কেমন, কোন কোন ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে। নবীনদের জন্য বলতে চাই, সমাজবিজ্ঞান পড়ে ক্যারিয়ার গড়ার অনেক সুযোগ আছে।
প্রথমে বিসিএস সহ প্রায় সকল সরকরি চাকরির দুয়ার খোলা,বাংলাদেশ ব্যাংক সকল সরকারি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ আছে। যারা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ যেতে চায়, তাদের জন্য অনেক ভালো সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে দরকার ভালো সিজিপিএ, ভালো ielts স্কোর, এবং দুই একটি রিসার্চ পাবলিকেশন থাকলে সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাবে। দেশি-বিদেশি এনজিওতে এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে সমাজবিজ্ঞানের স্টুডেন্টদের ভালো চাকরির সুযোগ আছে, সেক্ষেত্রে কম্পিউটার এবং ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে, গবেষণার জ্ঞান ও অনেক উপকারে আসবে।কেউ যদি শিক্ষকতায় আসতে চায় তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি কলেজ, প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভালো সুযোগ আছে।
(সংগৃহীত)


Review 2. 

অনেকে একে সমাজবিজ্ঞান  বলে ভুল করে থাকেন সমাজবিজ্ঞান বলতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যে কোন বিষয়কেই বুঝায়। সমাজতত্ত্ব সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যতম বিষয়। এই অনুষদের সবচেয়ে বড় বিভাগ হল সমাজতত্ত্ব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এই বিভাগেরই শিক্ষক। এছাড়াও উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সমাজবিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন এই ডিপার্টমেন্টরই সাবেক শিক্ষক। এই ডিপার্টমেন্টে রয়েছে নিজস্ব সেমিনার ও কম্পিউটার ল্যাব। বিশ্বায়নের এই যুগে ক্ষনে ক্ষনে বদলে যাওয়া সমাজ সমাজতত্ত্ব না জানলে চেনা যাবেনা। বিভিন্ন বিখ্যাত বিপ্লবি যেমন কাল মারক্স, মেক্স ওয়েবার,ইমিল ডুরখেইম,ভি.আই. লেনিন কিভাবে সমাজকে অনাচারমুক্ত ও মানবিক করতে প্রয়াস চালিয়েছেন তা সমাজতত্ত্ব আপনাকে শেখাবে। সমাজতত্ত্ব আপনার জন্য যেই অবারিত জব সেক্টর খুলে রেখেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -

#বিসিএস : অন্য বিষয়ের মত সমাজতত্ত্ব পাশ করেও আপনি বিসিএসের মাধ্যমে উচ্চশ্রেণীর সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেতে পারেন।
#এনজিও:  কক্সবাজারে এখন শত শত দেশী বিদেশী এনজিওর ঢ্ল নেমেছে যেখানে মুলত সমাজতত্ত্বই মুল অপশন। 
#ব্যাংক: বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংকে সমাজতত্ত্ব পাশ করে আবেদন করতে পারেন।
#গবেষক হিসেবে : বিভিন্ন কম্পানির বিভিন্ন গবেষণার কাজে অসংখ্য গবেষক লাগে যা  সমাজতত্ত্ব থেকে নেয়া হয়। 
#শিক্ষকতা: সমাজতত্ত্ব পাশ করে আপনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়জিত হয়ে শিক্ষকতার মহান পেশা বেছে নিতে পারেন।

সমাজতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর  ড.এস. এম. মনিরুল হাসান খুবই আন্তরিক।  এখন ৫ বছরেই আপনি গ্রেজুয়েশন শেষ করতে পারবেন। সমাজতত্ত্ব বিভাগে প্রতি বছর ৩.৫০+ সিজিপিএ উঠে।পরিসংখ্যান,সামাজিক গবেষণা, ফিল্ড ওয়ারক,মনগ্রাফ খুব সহজেই ভাল পয়েণ্ট তুলতে সাহায্য করে। যেই বিষয়গুলো আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য -

1st Year:

1)Introduction to Sociology. 
2)Social History and World Civilizations. 
3)Traditions in Social Thought. 
4)Introduction to Anthropology. 
5)Introduction to Social Psychology.
6)Peace,Conflicts  and Human Rights.
7)Bangladesh : Economy,Society and Culture. 
Optional - English. 

2nd Year:

1)History of Sociological Theories.
2)Rural Sociology. 
3)Gender and Development. 
4)Introduction to Logic and Science. 
5)Social Statistics -1.
6)Sociology of Environment. 
7)Sociology of Poverty. 
8)Sociology of Ethnicity and Minority. 

3rd Year:

1) Classical Sociology Theories. 
2)Social Structure of Bangladesh. 
3)Urban Sociology. 
4)Sociology of Developing Countries. 
5)Social Demography.
6)Research Methodology- 1.
7)Sociology of Deviance and Crime.

4th Year:

1)Modern Sociological Theories. 
2)Sociology of Education. 
3)Industrial Sociology. 
4)Sociology of Capitalism and Socialism.
5)Sociology of Social Movement. 
6)Social Statistics -2.
7)Research Methodology- 2.

Masters:

1)Contemporary Sociological Theory.
2)Sociology of Global Issues.
3)Comparative Social Structure & Development.
4)Social Change in South Asia.
5)Selected Texts-
a) Changing Society in India,Pakistan & Bangladesh - A. K. Nazmul Karim
b)State,Industrialization & Class Formations in India - Dr. Anupam Sen.
6)Social Stratification & Inequality.
7)Thesis.

-- Md. Golam Kibria.
Department of Sociology.
Hons.: (Session-2011-2012),Masters: (Session-2015-2016).
47th Batch.


Keywords: 
সাবজেক্ট রিভিউ Sociology 
Subject Review সমাজতত্ত্ব 
সাবজেকট রিবিউ সমাজতত্ত্ব
বিষয়: সমাজতত্ত্ব
সোশিয়লজি জব 
সমাজতত্ত্ব জব সেক্টর
সমাজবিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞান চাকরি চাকরী
সমাজতত্ত্ব পড়ে কি করব
সমাজতত্ত্ব পড়ে কী করবো
সমাজতত্ত্ব কেমন সাবজেক্ট
সমাজতত্ত্ব বাংলাদেশে চাকরি
সমাজতত্ত্ব পড়াশোনা
requirements qualifications Sociology
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সমাজতত্ত্ব
University admission subject 
 job sectors in Bangladesh
 job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগ
Chittagong University Sociology department
The University of Chittagong

সাবজেক্ট রিভিউ: রাজনীতি বিজ্ঞান (Subject Review: Political Science)

মানুষ জন্মগতভাবে রাজনৈতিক জীব - এরিস্টটল 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পৃথিবীর সবচেয়ে আদি এবং শ্রেষ্ঠ বিষয়। মানুষ যখন থেকে সংঘবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্র নামক ব্যবস্থার অধীনে আসে তখন থেকেই এই বিষয়ের পথচলা, এই পথচলা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে রাজনীতি বিজ্ঞান নাম ধারণ করে। রাষ্টবিজ্ঞান না হয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান এজন্যই যে রাজনীতির মধ্যে রাষ্ট্র ধারণ করে অনায়সেই। 

.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পথচলার শুরু হতেই এই বিষয়ের যাত্রা শুরু হয় যদিওবা প্রাতিষ্ঠানিক বয়স কিছু পরে হয়। ধীরে ধীরে এই সাবজেক্ট নিজেকে এমন অবস্থানে উন্নীত করেছে যে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যে কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে তার স্বকীয়তার পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে এই ডিপার্টমেন্ট তাদেরই নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুতে রাজনীতি বিজ্ঞানের অবস্থান বেশ শক্তপোক্ত। 
.
এই ডিপার্টমেন্ট এসে আপনি পাবেন ড. ভুঁইয়া মনোয়ার কবির স্যারের সাথে ১৯৪৭ থেকে বর্তমান বাংলাদেশের ইতিহাসের আলোচনায় নিজেকে ভাসিয়ে দিতে, কিংবা আনোয়ারা ম্যাডামের রসাত্মক ভঙ্গিতে জটিল জটিল তত্ত্বগুলোর সহজবোধ্য ভাষায় বর্ণনা নিতে, যদি তাতেও মন না ভরে তাহলে এসে হাজির হবেন আলম স্যার তার অত্যন্ত পরিমিত রসে মজাদার উপায়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিভিন্ন দিকপালের কথা বলতে। ড. ইয়াহ্হিয়া আক্তার স্যার, যার লেখনি হয়তো তোমরা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে পড়েছো, অসংখ্য বই ও কলাম লিখেছেন তিনি। তাছাড়া ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী স্যার, ড. মাহফুজ পারভেজ স্যার, ড. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী স্যার সকলের অসংখ্য লেখনী বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এবং তাদের নিজেদের লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে। শুধু বই আর জার্নাল না বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিভিন্ন সেক্টরে। ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী স্যার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তারও অসংখ্য লেখনী রয়েছে। বলতে গেলে তারা একেকজন জ্ঞানের আধার। তাছাড়া এমন করে আপনি পাবেন প্রায় প্রতিটি সাবজেক্টে অভিজ্ঞ, জ্ঞানী শিক্ষক মন্ডলী। যাদের সর্বোচ্চ সাহায্য সব সময় পাবেন। আর সবশেষে তো আছেই ডিপার্টমেন্ট বড় ভাইয়া,আপুদের সাহায্য, যারা আপনাকে গেঁথে নেবে এই ডিপার্টমেন্টে আপনার প্রথম পথচলার দিনেই।
.
এবার আসা যাক আপনি আগামী ৪ বছরে কি কি পড়বেন?
.
আপনি যদি বিসিএস টার্গেট করেন তাহলে ধরে নেন রিটেনের প্রস্তুতির ৪০-৫০ভাগ আপনার সম্পূর্ণ হবে যদি আপনি মনোযোগী ছাত্র হন। প্রশাসনের বিভিন্ন পরিভাষা আপনার মুখে বুলি ফুটবে যা আপনাকে এগিয়ে রাখবে বিসিএস ভাইভাতে। যেমন আপনি পড়বেন রাষ্ট্রীয় নীতি, তুলনামূলক রাজনীতি, লোক প্রশাসন, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্রিটিশ থেকে বাংলাদেশ পরিণত হওয়ার ইতিহাস, বাংলাদেশের সরকার, সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল, রুশো, কার্ল মার্ক্স, হবস, জন লক ইত্যাদি পৃথিবী বিখ্যাত মনিষীদের তত্ত্ব, তাদের জীবনধারা, সাথে করতে পারবেন তাদের সমালোচনা। 

এইজন্যই এরিস্টটল বলেছিলেন, Political Science is the Mother of all Science. 
.
তবে এত দারুণ সব সাবজেক্ট পড়ে আপনি যদি শিক্ষকদের চাহিদামত লিখতে পারেন তাহলে ৩.৩০--৩.৭০ পর্যন্ত রেজাল্ট অনায়সেই করতে পারবেন, তবে শিক্ষকেরা আশায় আছেন আপনারা কেউ এসে স্যারদের থেকে জোর করে ৩.৯০-৪.০০ দখল করে নেওয়ার। উল্লেখ্য সম্পূর্ণ সেশন জট মুক্ত বিভাগ এটি। 
.
আর সবিশেষ ব্যাপার হল আপনি এই ৪/৫ বছর স্নাতক, স্নাতকোত্তর করে আপনি কি কি করতে পারবেন?
.
প্রথমত বিসিএসে প্রভূত সুবিধা যা দ্বারা এক্কেবারে সচিব হওয়ার সুযোগ আছে, আপনি যে ফ্যাকাল্টিতে আসছেন তার নাম সমাজ বিজ্ঞান আর সমাজ বিজ্ঞানের জন্য চাকরি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শুরু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পর্যন্ত, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, এনজিও, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক বিশ্লেষক, এবং সর্বোচ্চ কথা হল বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি/বেসরকারি  কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাবজেক্টে আপনি পাবেন শিক্ষকতার সুযোগ। লোভনীয় সব সুযোগ সুবিধায় পাবেন। সুতারাং একথা নিশ্চিত আপনার রুটিরুজির অভাব হবেনা। মূলকথা হচ্ছে এই ডিপার্টমেন্ট আপনাকে জ্ঞানের এক অকূল সাগরে পাড়ি দিতে দক্ষ করে তুলবে। আর বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ এর কথা এসেই জানবেন।উচ্চতর ডিগ্রি ও গবেষণার জন্য USA, Canada,UK, Australia এবং Europe-এর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে।
.
বর্ণিল এই ডিপার্টমেন্টে আপনাদের বরণ করব বলে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি। দেখা হবে সমাজবিজ্ঞানের দ্বিতীয় তলায়, সুবিশাল করিডর তোমাদের পদচারণায় মুখর হউক।
.

নিয়মিত বিভিন্ন আয়োজনে মুখরিত থাকে বিভাগটি, সিনিয়রদের কাছ থেকে শতভাগ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ পাওয়া সুনিশ্চিত। তাই দেরি কেন চলে এসো ৫৫ তম ব্যাচের সদস্য হয়ে। 
.
পরিমার্জিত ও সংগৃহীত। 

-- Yousuf Mohammad Enan 
Department of Political Science 
University of Chittagong

Keywords: 
সাবজেক্ট রিভিউ রাজনীতি বিজ্ঞান
Subject Review Political Science 
সাবজেকট রিবিউ রাজনিতি বিজ্ঞাব
বিষয়: রাজনীতি বিজ্ঞান রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্র বিজ্ঞান রাস্ট্র বিজ্ঞান
রাজনীতি বিজ্ঞান জব 
পলিটিকাল সায়েন্স জব সেক্টর
রাজনীতি বিজ্ঞান চাকরি চাকরী
 রাজনীতি বিজ্ঞানে পড়ে কি করব
রাজনীতি বিজ্ঞানে পড়ে কী করবো
রাজনীতি বিজ্ঞান কেমন সাবজেক্ট
রাজনীতি বিজ্ঞান বাংলাদেশে চাকরি
রাজনীতি বিজ্ঞান পড়াশোনা
requirements qualifications political science 
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি রাজনীতি বিজ্ঞান
University admission subject Political Science 
Political Science job sectors in Bangladesh
Political Science job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ
Chittagong University Political Science department
The University of Chittagong

সাবজেক্ট রিভিউ: লোকপ্রশাসন (Subject Review: Public Administration)

পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন যারা পড়ে তাদের বলা হয় 'Navigator Of The Nation".ব্রিটিশ শাসন সেই কবেই লুপ্ত হয়ে গেছে,তবে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শাসন লুপ্ত হয় নাই।কাজেই শাসক হওয়ার ইচ্ছা থাকলে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনই হতে পারে আপনার প্রথম চয়েজ। 

লোক প্রশাসন (Public Administration) বিভাগটি কেমন? এটি কি ফর্সা না কালো, টক নাকি মিষ্টি ? এই বিভাগে কেন পড়ব/কেন পড়ব না? এখানে পড়লে কি ধরনের চাকুরী হবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে লোক প্রশাসন আসলে কি সেই ব্যাপারটি পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি। কারন বিভাগ হিসেবে এই সাবজেক্টটি কিছুটা আনকমন এবং স্কুল - কলেজের গন্ডির মধ্যে কোথাও পাব্লিক এডমিনিস্ট্রেশন নামের কিছু ছিলো না বলে অনেকেই বিভাগটির সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা রাখেন না। প্রথমেই বলা প্রয়োজন যে, পাব্লিক কথাটির অর্থ হচ্ছে গভর্মেন্ট, এই যে আপনি পাব্লিক ভার্সিটি অর্থাৎ গভর্মেন্ট ভার্সিটিতে পড়ছেন/পড়তে যাচ্ছেন সেই গভর্মেন্ট। সুতরাং পাব্লিক এডমিনিস্ট্রেশন মানে হচ্ছে গভর্মেন্ট
এডমিনিস্ট্রেশন। সরকারের পলিসি প্ল্যানিং থেকে পলিসি ফর্মুলেশন, সরকারি প্রশাসনের রক্ষনাবেক্ষন এবং ম্যানেজমেন্ট ,আইন ইত্যাদি হচ্ছে লোক প্রশাসনের ফোকাস এরিয়া। মোটা দাগে বলতে গেলে লোক প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সরকার এবং সরকারের কার্যক্রমের এমন কোন বিশেষ জায়গা নেই যেটি লোক প্রশাসনের বহির্ভূত। যেকোন প্রতিষ্ঠানের সফলতা / ব্যর্থতা নির্ভর করে একজন প্রশাসকের উপরে। একজন দক্ষ প্রশাসককে তাই হতে হয় একজন মাল্টিডিসিপ্লিনারি মানুষ। 

#কি কি পড়ানো হয়:
চার বছরের অনার্স কোর্সে এই সাবজেক্টে এডমিনিস্ট্রেশন এর যাবতীয় খুঁটিনাটি পড়ানো হয়।শাসক হতে হলে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংবিধান,সমাজব্য বস্থা,আইন,দেশের সাথে অন্যান্য দেশের সম্পর্ক,দেশের প্রশাসনিক ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হয়।এজন্যে পাবলিক 
এডমিনিস্ট্রেশন এর শিক্ষার্থীদের Political Science, Economics, Constitution, Sociology, Constitutional Law,International Relations এই সাবজেক্টগুলাও পড়তে হয়। একইসাথে কমার্সের কিছু মৌলিক সাবজেক্ট যেমন Banking,Management এই সাবজেক্টগুলাও পড়তে হয়। বিভিন্ন সাবজেক্টের সমষ্টি নিয়ে লোকপ্রশাসনের সিলেবাস হলেও সিলেবাসটা মোটেও বোরিং বা একঘেয়ে না।এটি 
মূলত প্র্যাক্টিক্যাল একটা সাবজেক্ট।আর কোর্সভূক্ত
টপিকগুলাও অনেক ইন্টারেস্টিং আর সময়োপযোগী। 

#চাকুরীর বাজারে আসা যাক।প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে এডমিনিস্ট্রেশন। সুতরাং, পাব্লিক এডমিনিশট্রেশন এর পরিসর অত্যন্ত বিস্তৃত।বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্টগুলোর মধ্যে একমাত্র পাব্লিক এডমিনিস্ট্রেশন সাবজেক্টের নামেই একটি মন্ত্রনালয় আছে এবং সেই জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে(Ministry of Public Administration) পাব্লিক এডমিনিস্ট্রেশন পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে লোভনীয় পদে চাকুরীর সুযোগ। এছাড়া বিশেষ সুযোগ রয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনে। বিসিএসে যতগুলো ক্যাডার রয়েছে এর মধ্যে প্রশাসন, পুলিশ, সিভিল সার্ভিস ক্যাডারে চাকরিতে অগ্রাধিকার পান এ বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। এ ছাড়া দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, প্রশাসন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ইত্যাদি বিভাগে তাঁরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী, মানবাধিকার সংস্থা,বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, ব্যাংক, বিমা, বিভিন্ন এনজিওতে এ বিভাগের ছেলেমেয়েরা ভালো বেতনে কাজ করছেন। অনেকে আবার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় চাকরি করছেন। দেশের বাইরে যেমন যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এ বিভাগের ডিগ্রিধারীরা এখন ভালো বেতনে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

এত যে হোমরা চোমরা সচিব আর প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি আছে সবার কিন্তু চাকরি তে জয়েন এর আগে লোক প্রশাসনের উপর কোর্স করতে হয়েছে।
তাছাড়া বিসিএস প্রশাসন পাওয়া কেন্ডিডেট রা সরকারিভাবে স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে কিন্তু লোক প্রশাসনের উপরই পড়তে যায়।

প্রতিটা সেক্টরই মোটামোটিভাবে এই সাব্জেক্টের জন্য উন্মুক্ত।হাসপাতালে জব করবেন?
তাও আছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নামে সুন্দর একখান পদ।

ভালো ভালো চাকুরী আছে। 
★প্রাইভেট ব্যাংকগুলাতে HR বা Human Resource Department নামে একটি শাখা আছে,ওই শাখাতে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন এর শিক্ষার্থীদেরই রাজত্ব। 
★সরকারি বিভিন্ন সংস্থা আর ব্যাংকে চাকুরী তো সাথে আছেই। 
★চার বছরের একাডেমিক পড়াশোনায় লোকপ্রশাসনের শিক্ষার্থীদের বিসিএসের প্রিপারেশান অনেকটাই হয়ে যায়, কারণ সাবজেক্টটার বেশীরভাগ টপিকই বিসিএসের 
সিলেবাস রিলেটেড। কাজেই যাদের বিসিএস টার্গেট,লোকপ্রশাসন তাদের জন্যে বেস্ট চয়েজ। বিসিএস (প্রশাসন) -এ লোকপ্রশাসনের শিক্ষার্থীদের রাজত্ব 
সবসময়েই। এমনকি যারা বিসিএস দিয়ে প্রশাসনিক ক্যাডার হয়, তাদের লোকপ্রশাসন নিয়ে বছরখানেক পড়াশোনা করতে হয়-  কাজেই এদিক দিয়েও আপনি এগিয়ে থাকবেন। 

#রেজাল্ট : 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসনের সর্বোচ্চ সিজিপিএ-৩.৮২। উনি এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক।কেউ যদি চার বছরের অনার্স লাইফে এভারেজ ৩.৫০ রেজাল্ট করতে পারে,ধরে নেয়া যায় তার শিক্ষক হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%। সোশ্যাল সায়েন্সের অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট গুলোর মতোই ভালো রেজাল্ট বলতে সিজিপিএ-৩ 
থেকে ৩.৫ পাওয়াকে বোঝায়।বেশীরভাগে রই এভারেজ রেজাল্ট থাকে ৩ থেকে ৩.২ এর মধ্যে। 
বিভাগটির একটি বড় আকর্ষন হচ্ছে ছাত্র - শিক্ষক সম্পর্ক।এছাড়া স্পোর্টস, কালচারাল প্রোগ্রাম,সোশ্যাল ওয়ার্ক ইত্যাদিতে লোক প্রশাসন বিভাগটি বেশ সক্রিয়। সোশাল সাইন্স ফ্যাকাল্টি এ যতগুলো বিভাগ রয়েছে, তারমধ্যে পাব্লিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগটি সবচেয়ে সুন্দরভাবে সাজানো এবং গোছানো এমন দাবী করলে অত্যুক্তি হবে না। সবমিলিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোর মধ্যে লোক প্রশাসন বিভাগ নিজেকে অন্যতম সেরা একটি বিভাগ হিসেবে দাবী করার যোগ্যতা রাখে।

আপনার চ্যালেঞ্জ নিতে ভালো লাগে? দেশে ঘটে যাওয়া সমসাময়িক যাওয়া ব্যাপারগুলোতে দারুণ আগ্রহ? সিস্টেমের ভেতরে ঢুকে সিস্টেম পরিবর্তনে আগ্রহী,ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন আছে? লোকপ্রশাসন ডিপার্টমেন্ট এ আপনাকে স্বাগতম।

(সংগৃহীত)

Keywords: 
সাবজেক্ট রিভিউ Public Administration
Subject Review লোকপ্রশাসন
সাবজেকট রিবিউ লোক প্রশাসন জন প্রশাসন লোক-প্রশাসন
বিষয়: লোকপ্রশাসন 
লোকপ্রশাসন জব 
পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জব সেক্টর
লোকপ্রশাসন চাকরি চাকরী
লোকপ্রশাসন পড়ে কি করব
লোকপ্রশাসন পড়ে কী করবো
লোকপ্রশাসন কেমন সাবজেক্ট
লোকপ্রশাসন বাংলাদেশে চাকরি
লোকপ্রশাসন পড়াশোনা
requirements qualifications public administration 
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি লোকপ্রশাসন বিভাগ
University admission subject public administration 
public administration job sectors in Bangladesh
public administration job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগ
Chittagong University public administration department
The University of Chittagong

সাবজেক্ট রিভিউ: আইন (Subject Review: Law)

আইনে কেন পড়বেন?
আসলে আইনে পড়ার সুযোগ সুবিধার কথা।জানলে
আপনি এই প্রশ্নটা কখনই করবেন না।যাদের আইন বিষয় কিছুটা কম জানা আছে তারা এই পোস্ট দ্বারা কিছুটা উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।সকল দিক থেকে আইনের মূল্যায়ন।

১.নাগরিক হিসেবে : আইনজীবীরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক!
- বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট

২. পদবির দিক থেকে:নামের আগে বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, অধ্যাপক (আইন), ব্যারিস্টার,অ্যাডভোকেট পদবিগুলো দেখতে কার না ভালো লাগে? এ পদবিগুলো যতটা আকর্ষণীয় এগুলো অর্জন করা ততটা সাধনার ব্যাপার না।আর আপনি এসব পদবি কখনই পাবেন না, যদি না আপনি আইনের ছাত্র না হোন।

৩.বিষয়ভিত্তিক পেশাঃআইন একটি মুক্ত পেশা। এখানে রাজ্যের স্বাধীনতা। নিজের পছন্দ অনুযায়ী ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করা যায়। তবে এ পেশায় সামাজিক দায়বদ্ধতা অন্যান্য পেশার থেকে অনেক বেশি। যেমনি দায়বদ্ধতা রয়েছে তেমনি রয়েছে নিজেকে প্রমান করার অনেক
সুযোগও।আইনভিত্তিক বিভিন্ন পেশা,যেমন:
(i) ব্যারিস্টার
(ii) জজ
(iii) সাধারন আইনজীবী
(iv) লিগাল এডভাইজার (কোম্পানি, ব্যাংক,
মার্কেটসহো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান) 
(v) জাজ এডভোকেট জেনারেল (মার্শান আইন)
(vi) শিক্ষক (বিশ্ববিদ্যালয় ও ল' কলেজ)

৪. অন্যান্য পেশায় : বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমের শীর্ষে উঠে এসেছে আইন বিষয়ে পড়ালেখা। মেধাবীরাই আইনে পড়তে আসছে। বিসিএস ও অন্য যে
কোনো নন ক্যাডারের চাকরি, ব্যাংক,স্বায়ত্তশাসিত ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে আইনের ছাত্রদের অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের মতো সমান সুযোগ রয়েছে।

৫.স্কলারশিপঃআইন পেশায় উচ্চতর ডিগ্রী নেয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বীকৃতকোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা
আর্ন্তজাতিক সংস্থা যেমন- সার্ক,কমনওয়েলথ, আইডিবি, ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডনে ব্রিটিশ
কাউন্সিলে বার-এট-ল অর্থাৎ ব্যারিস্টারি করা যেতে পারে। ব্যারিস্টারি করতে হলে লন্ডন বার কাউন্সিলের সনদ নিতে হবে।স্কলারশিপের জন্য জাতীয় অথবা আর্ন্তজাতিক স্কলারশিপ (বৃত্তি) অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

৬. সম্মান ও বেতন:আইন একটি মুক্ত পেশা। এখানে রাজ্যের স্বাধীনতা। নিজের পছন্দ অনুযায়ী ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করা যায়। তবে এ পেশায় সামাজিক দায়বদ্ধতা অন্যান্য পেশার চেয়ে অনেক বেশি। তবে একজন আইনজীবী বার কাউন্সিল থেকে প্রণীত আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে তার বার কাউন্সিল সনদ বাতিল হয়ে যেতে পারে! আয়-রোজগার আইন পেশাটা পুরোই আপনার কাজের ওপর নির্ভর করবে। কাজ বলতে মেধা এবং অভিজ্ঞতা। আপনি এখানে যতই মাথা খাটাতে পারবেন ততই ভালো একটা অ্যামাউন্ট পকেটে পুরতে পারবেন। তাছাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী জজ পদে নিয়োগ পেলে সর্বোচ্চ সম্মান, রাজ্যের সুবিধাসহ ভালো অঙ্কের বেতন তো আছেই। তবে আইনজীবী হলে আয়-রোজগারের বিষয়টি

অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত দক্ষতা, সামাজিক যোগাযোগ ও
মামলার ধরনের ওপর নির্ভর করে। হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মাসিক আয় মামলার ধরন অনুযায়ী ৬০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। আইন পেশায় সদ্য যোগদানকারীরা ভালো টাকা আয় করতে পারেন মাথা খাটিয়ে। একজন নতুন আইনজীবী সাধারণত ৩০-৩৫ হাজার টাকার ওপর আয় করতে পারেন অনায়াসে। মানুষের পাশে বাংলাদেশে যতগুলো আত্মনির্ভরকেন্দ্রিক পেশার দেখা মেলে তার মধ্যে আইন পেশাই সর্বজন পরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশা।এ পেশায় এসে আপনি যেমন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন, তেমনি সমাজে সবার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া সম্মান এবং সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য বর্তমান সময়ে আইন পেশার
প্রতি সবার আগ্রহ আরও বেড়েই চলছে। এই পেশার সুযোগ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মাত্রা ও সম্ভাবনা যোগ করছে। প্রাচীন আমল থেকেই আইনজীবীদের দেখা হয় মর্যাদার চোখে। এক সময় এ পেশায় ছেলেরা এলেও সেই দেয়াল
আরও আগেই ভেঙে গেছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে
মেয়েরা এখন বেশ ভালোভাবেই নিচ্ছেন এ পেশা। আপনিও পারেন আইন পেশায় এসে সফল ক্যারিয়ার গড়তে। এর জন্য প্রস্তুতিটা শুরু করুন আজ থেকে আইনের ছাত্র
হওয়ার মাধ্যমেই।

৭.আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন পেশা:
 আমাদের দেশে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার প্রধান পেশা হিসেবে নিলেও আন্তর্জাতিক অং্গণে আইন ই হচ্ছে সর্বোচ্চ পেশা। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, রাশিয়া আরো যত বিখ্যাত দেশ আছে, এসব দেশে আইন কেই সর্বোচ্চ পেশা হিসেবে গণনা করে। এমনকি বাংলাদেশেও আইনের প্রতি সকল শ্রেণির মানুষের
ঝোক ও ভালোবাসা দিন দিন বাড়ছে। এমনকি বাংলাদেশেও আইন পেশাই হবে অন্যতম সম্মানিত এবং অন্যতম জনপ্রিয়
পেশা, আর এর প্রতিফলন শুধু সময়ের ব্যাপার।
(সংগৃহীত)

Keywords: 
সাবজেক্ট রিভিউ আইন
Subject Review Law
সাবজেকট রিবিউ আইন ল low
বিষয়: আইন
আইন ল জব 
আইন জব সেক্টর
আইন চাকরি চাকরী
আইনে পড়ে কি করব
 আইন পড়ে কী করবো
 আইন কেমন সাবজেক্ট
আইনের বাংলাদেশে চাকরি
আইন পড়াশোনা
requirements qualifications law
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি আইন
University admission subject law
 law job sectors in Bangladesh
law  job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগ
Chittagong University law  department famous in south asia
The University of Chittagong

সাবজেক্ট রিভিউ: গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (Subject Review: Mass Communication and Journalism)

ইদানীং শিক্ষার্থীদের বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে পছন্দের প্রথম সারিতে ঠাঁই করে নিয়েছে সাংবাদিকতা। গণমাধ্যমের প্রসারের ফলে বাড়ছে এ বিষয়ের চাহিদা। পেশার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বলে এ বিষয় অনেকেই বেছে নিচ্ছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে নিজেকে যাঁরা জড়াতে চান, উচ্চশিক্ষার বিষয় হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন সাংবাদিকতা।

সাংবাদিকতায় কেন পড়বেন?
সংবাদপত্রের পাশাপাশি সাংবাদিকতার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সুযোগ তো রয়েছেই।
একসময় সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনাকে তেমন মূল্যায়ন করা হতো না। বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে কাজের ক্ষেত্র। ফলে এ বিষয়ে পড়তে আগ্রহী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা এখন শুধু গণমাধ্যমে নয়, বিভিন্ন এনজিও, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছে।
(সংগৃহীত)

KEYWORDS:
সাবজেক্ট রিভিউ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা Journalism 
Subject Review Journalism 
সাবজেকট রিবিউ সাংবাদিক
বিষয়: সাংবাদিকতা
সাংবাদিকতা জব 
সাংবাদিকতা জব সেক্টর
সাংবাদিকতা চাকরি চাকরী
সাংবাদিকতা পড়ে কি করব
সাংবাদিকতা পড়ে কী করবো
সাংবাদিকতা কেমন সাবজেক্ট
সাংবাদিকতা বাংলাদেশে চাকরি
সাংবাদিকতা পড়াশোনা
requirements qualifications mass communication and journalism department 
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সাংবাদিকতা বিভাগ
University admission subject journalism 
journalism job sectors in Bangladesh
journalism job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগ
Chittagong University journalism 
The University of Chittagong 

সাবজেক্ট রিভিউ: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (Subject Review: International Relations)

আধুনিক বিশ্ব ব্যবস্থায় আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও চুক্তি, বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান, বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এই সব জায়গাতে দাপটের সাথে কাজ করে ইত্যাদি বিষয়ে জানতে হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে জানা থাকা প্রয়োজন। আই আর (IR), ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস(International Relations) নামেও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় পরিচিত।

কেন পড়বেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে
সে বিষয়ে যাবার আগে আসুন নিজেকে প্রশ্ন করা যাক, কি চায় একজন মানুষ?
সহজেই নিজের একটি ভাল অবস্থান তৈরি করে নিতে।
বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ
যশ, খ্যাতি আর বড় অঙ্কের বেতন।
সর্বোপরি কাজের ভেতর দিয়ে দেশকে সেবা করতে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশুনা করলে এই সব সুযোগ ধরা দেবে সহজে ।
সে সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বা দেশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেকে একজন দক্ষ কূটনীতিক হিসেবেও গড়ে তুলতে পারবেন।

*দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
আমেরিকা বা ব্রিটেনে ,অস্ট্রেলিয়াতে বেশি যাচ্ছে। এর কারন অস্ট্রেলিয়া প্রচুর স্কলারশিপ দিচ্ছে। ভারত, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক , ইতালি, জার্মান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্কলারশিপ দিচ্ছে। থাকছে অনার্স , মাস্টার্স এবং পি আইচ ডি করার সুযোগ।

*কী কী পড়ানো হয়:
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে যে বিষয়গুলো পড়ানো হয় তা হলো_ ইন্ট্রোডাকশন টু ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল ইনস্টিটিউশন, ফরেন পলিসি অ্যানালাইসিস, বাংলাদেশ ইন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আইডিওলজি ইন ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স রিফিউজি, মাইগ্র্যান্ট অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট, স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, থিওরিজ অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, ইন্টারন্যাশনাল নেগোসিয়েশন অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি, ইন্টারন্যাশনাল ল’, পলিটিক্স অব জেন্ডার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট স্টেট, সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস, মাস কমিউনিকেশন, জিওগ্রাফি, রিসার্চ মেথোডোলজি, ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল ইকোনমি অ্যান্ড ট্রেড রিজুম, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি, কনফ্লিক্ট রেজুলেশন অ্যান্ড পিস স্টাডিজ, পলিটিক্স অব গ্লোবালাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট ইত্যাদি।

*এ বিষয়ে পড়তে হলে
যে কোনো বিষয়ে পড়তে হলে আগে সে বিষয়ের প্রতি আগ্রহ থাকা চাই। এ বিষয়ে পড়তে হলেও প্রচণ্ড আগ্রহ থাকতে হবে। প্রচুর পড়াশোনার অভ্যাস থাকতে হবে। বেশিরভাগ সময় বই নিয়ে নাড়াচাড়া করা কিংবা বইয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর মনমানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। দেশের সঙ্গে বিদেশের কূটনীতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। ইংরেজিতে দক্ষ হলে এ বিষয়ে পড়তে অনেক সুবিধা হবে।

*চাকরি পাবেন যেখানে
এ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শেষে দেশ-বিদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, মাইগ্রেশন, ডিসপ্লেসমেন্ট ও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করতে পারবেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন জাতিসংঘের পেশাদার কূটনীতিক ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষকতা করার সুযোগ তো রয়েছেই।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একটি যুগোপযোগী ও চাহিদাসম্পন্ন বিষয়। এ বিষয়ে পড়াশোনা করে একটি স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন।
(সংগৃহীত)

KEYWORDS: 
সাবজেক্ট রিভিউ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আই আর আইআর
Subject Review IR / International Relation 
সাবজেকট রিবিউ আই আর
বিষয়: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক IR আইআর
আইআর জব 
আইআর জব সেক্টর
আইআর চাকরি চাকরী
আইআর পড়ে কি করব
আইআর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পড়ে কী করবো
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কেমন সাবজেক্ট
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক  বাংলাদেশে চাকরি
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পড়াশোনা
requirements qualifications IR
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক 
University admission subject International Relation 
IR job sectors in Bangladesh
IR job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
Chittagong University International Relation department 
The University of Chittagong 

সাবজেক্ট রিভিউ: অর্থনীতি (Subject Review: Economics)

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি কেন পড়বো?

বিশ্বের টপ লেভেলের তিনটি সাবজেক্টের ভিতর দ্বিতীয় অর্থনীতি!
একটি জাতির অর্থনীতির কারিগর অর্থনীতিবিদরা।
তাছাড়াও সোশ্যাল সায়েন্স থেকে একমাত্র অর্থনীতির জন্যই নোবেল পুরস্কার আছে💙

যা পড়ানো হয়ঃ
অর্থনীতি বিষয়টিতে সামষ্টিক ও ক্ষুদ্র অর্থনীতি, অংক, পরিসংখ্যান, ব্যাংকিং, ফিন্যান্স,একাউন্টিং,ম্যানেজমেন্ট ও অর্থনীতির সংশ্লিষ্ট কতকগুলো
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ানো হয়।
এছাড়াও উন্নয়ন অর্থনীতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, শিল্প,স্বাস্থ্য অর্থনীতি,ইসলামিক অর্থনীতি,পলিটিক্যাল ইকোনমি ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়।

অর্থনীতিই কেনো?

অর্থনীতি ছাড়া সব কিছুই অর্থহীন।একুশ শতকের বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নতির পিছনে অর্থনীতিবিদদের বিভিন্ন গবেষণাই মূল ভিত্তি।
আমাদের চারপাশের সীমিত সম্পদের কিভাবে সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যায় অর্থনীতি তা নিয়েই আলোচনা করে।
অর্থনীতিকে বলা হয় রয়্যাল সাবজেক্ট।বর্তমান পৃথিবী যদি কোনো ধাঁধা হয় তবে তার উত্তর হলো অর্থনীতি।
সময়ের সাথে সাথে বিষয় হিসেবে অর্থনীতির আবেদন বাড়ছে। আসলে অর্থনীতিতে সমাজবিজ্ঞান আর বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটেছে।
আর ব্যবসায় প্রশাসনতো খোদ অর্থনীতির কোলেই বেড়ে উঠেছে। অর্থনীতি এমন এক বিজ্ঞান যার গবেষণাগার গোটা পৃথিবী। অর্থনীতির গেম থিওরি এতটাই মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব যে এটা নিয়ে মনোবিজ্ঞান থেকে শুরু করে হালের কম্পিউটার সায়েন্সের বিজ্ঞানীরাও নিজেদের ক্ষেত্রে এটাকে কাজে লাগাচ্ছেন। এখানেই অর্থনীতির শ্রেষ্ঠত্ব। গেম থিউরি কি জিনিস সেটা জানতে "এ বিউটিফুল মাইন্ড" দেখতে পারেন।

→উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা
দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অর্থনীতির অনেক বিষয়ের উপর পিএইচডি করা যায়। এছাড়াও আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, কানাডা সহ নানা দেশে পিএইচডি সুবিধা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা (আইএলও), এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, আঙ্কটাড, আইডিএ এসব আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো সরাসরি অর্থনীতিবিদদের দখলে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্ল্যানিং ডিভিশনসহ বিভিন্ন পজিশনে শুধু অর্থনীতির ছাত্ররাই নিয়োগ পেয়ে থাকেন। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফোর্ড ফাউন্ডেশন, বিল গেট্স মিলিন্ডা, পেকার্ড ফাউন্ডেশন, আইসিডিডিআরবি, মন বসু, জেএসপিএসে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ রিসার্চার অর্থনীতি ব্যাকগ্রাউন্ডের। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হলে ভালো মানের অর্থনীতিবিদ হতে হবে।
অর্থনীতির ক্যারিয়ার কি,সে প্রশ্নটা না হয় ভবিষ্যতের জন্যইতোলা থাক

#কি_আছে_চবি_অর্থনীতি_ডিপার্টমেন্টে?

প্রশ্নটি সম্ভবত এভাবে হবে,কি নেই চবি অর্থনীতি বিভগে?
দেশের অন্যতম সেরা ডিপার্টমেন্ট চবি অর্থনীতি বিভাগ💙।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থেকে শুরু করে সচিব,বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি,ইউএনডিপির পরিচালক,বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ব্যাংক কর্মকর্তা কোথায় নেই এই ডিপার্টমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীরা!

আর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছেন নোবেলজয়ী ডঃ ইউনুস,একুশে পদকপ্রাপ্ত ডঃ মইনুল হোসেন ইউজিসি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান এবং আরো অনেকে।

প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছর পেরিয়ে যেসব ডিপার্টমেন্টের সব শিক্ষকই চবির ছাত্র ছিলো তার মাঝে অর্থনীতি বিভাগ একটি।
এ ডিপার্টমেন্টের সব টিচাররাই এক সময় এই বিভাগের গর্বিত ছাত্র ছিলো।

বিভাগ কর্তৃক এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ।

বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে নানান সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজন সহ চবি অর্থনীতি বিভাগ নিয়মিত আয়োজন করে ডিস্টিংগুয়িশড লেকচারের।
যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর,এক্স-গভর্নর,সরকারী ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চপদের  কর্তা,বিদেশের বিভিন্ন ভার্সিটির বাংলাদেশী খ্যাতনামা শিক্ষকদের নিয়ে আসা হয়।
আর ডিপ্টের চেয়ারম্যান নিতাই স্যারের গান তো আছেই😂😂

#Young Economists Society (YES)
অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রদের নিয়ে ১৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় ইয়েস।
এই সংগঠনটিকে চবি অর্থনীতি বিভাগের প্রাণভোমরা বলা যায়।
যার মূল মটোই হলো Together We Grow।
এখানে তুমি একগাদা বড়ভাই পাবে যারা সত্যিই জুনিয়রদের আগলে রাখে ভালোবাসা দিয়ে।
ইয়েসের বর্তমান কমিটির ভাইরা এতো সেরা আর কেয়ারফুল যে বলার অপেক্ষা রাখে না।
এইতো সদ্য সমাপ্ত হওয়া ন্যাশনাল বাজেট অলিম্পিয়াডের রিজিওনাল রাউন্ড শেষে সিনিয়র-জুনিয়ররা মিলিমিশে একাকার হয়ে গেছিলো।
আর তাতে ইয়েস প্রেসিডেন্ট মাসুম ভাইয়ের জুনিয়রদের সাথে ডান্স বা জিএস আদনান আলী ভাইয়ের গান এককথায় এতোটা জোশ ক্লাব আর হতেই পারে না।
এছাড়াও বিতর্ক,দেয়ালিকা,ম্যাগাজিন প্রকাশ,পাঠচক্র এবং চবি অর্থনীতি বিভাগের সাবেক সেরা ছাত্রতের নিয়ে ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ব্যাপারস্যাপার তো আছেই।

সিট সংখ্যা-
সায়েন্স-৬৬
আর্টস-৪০
কমার্স-২৬

এতক্ষণ তো গেলো অর্থনীতির ভালো দিকগুলি,এবার একটু খারাপ দিকগুলোতেও আসা যাক।

অর্থনীতি এমন একটি সাবজেক্ট যেখানে প্রচুর প্যারা।
পড়াশুনো করতেই হবে।
প্রায় ৭০-৮০% হায়ারম্যাথসের টার্ম আর গ্রাফ দিয়ে ভর্তি এই সাবজেক্টটি নিলে পড়াশুনো ছাড়া বিকল্প কোনো অপশনস নাই।
যদি তুমি অংকে প্রচুর কাঁচা হও তাহলে এতে ধাতস্থ হতে বেগ পেতে হবে।
আর ১ম ও ২য় বর্ষে তো একাউন্টিং,ম্যানেজমেন্ট,ফিন্যান্স,ব্যাংকিং এগুলো আছে।
কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে,কথাটা বোধহয় অর্থনীতির পরিপূরক।
জব সেক্টরে এ ডিপার্টমেন্টের চাহিদা বলে শেষ করার নয়।

আর যদি ভার্সিটিতে এসে মজ-মাস্তি করার অভিপ্রায় থাকে তাহলে বলবো অর্থনীতি না নিয়ে অন্যান্য সাবজেক্টগুলো চুজ করাটাই ব্যাটার হবে।

মজার ব্যাপার হলো বাহ্যিক দিক থেকে এটাকে রসকষহীন সাবজেক্ট মনে হলেও যখন এই সাবজেক্ট নিয়ে পর্যালোচনা করবে তখন অর্থনীতির চেয়ে রসালো সাবজেক্ট তুমি খুঁজেই পাবে না।

আমাদের নন-মেজর কোর্সের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ এক প্রফেসর প্রায়ই বলেন,"এই যে দুনিয়ার এতো রাজনীতি,বৈশ্বায়ন,যুদ্ধ,বিপ্লব সবগুলোই অর্থনীতিকে কেন্দ্র করেই আপতিত হয়"।

সবমিলিয়ে রয়্যাল এই ডিপার্টমেন্টের নবীনদের অগ্রীম অভিনন্দন💙

ভালোদের জন্য ভালোবাসা

-- আল-মামুন,
অর্থনীতি বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়💙

Keywords:
সাবজেক্ট রিভিউ অর্থনীতি
Subject Review Economics
সাবজেকট রিবিউ অর্থনিতি
বিষয়: অর্থনীতি
জব অর্থনীতি
অর্থনীতি জব সেক্টর
অর্থনীতি চাকরি চাকরী
অর্থনীতি পড়ে কি করব
অর্থনীতি পড়ে কী করবো
অর্থনীতি কেমন সাবজেক্ট
অর্থনীতি বাংলাদেশে চাকরি
অর্থনীতি পড়াশোনা
requirements qualifications Economics
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি অর্থনীতি অর্থনিতি অর্থনিতী অর্তনীতি
University admission subject Economics
Economics job sectors in Bangladesh
Economics job sectors in the world
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগ
Chittagong University Economics department
The University of Chittagong